ফেসবুকে জানান দিয়ে গৃহবধূর চিরবিদায়

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০২৪

এস.এম. মাহবুবুল ইসলাম লিটন।রাজশাহীতে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করার পরপরই এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করার মতো ঘটনা ঘটেছে। তারপর ওই এলাকায় ঈদের আনন্দ যেন মূহূর্তে বিষাদে রূপ নিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) ভোর রাতের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত ওই গৃহবধুর নাম রহিমা আক্তার (রেমি)। নিহত রেমি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার নিমতলা মন্ডল পাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে এবং পুঠিয়া উপজেলার কাঠালবাড়িয়া এলাকার সায়েম আক্তার সাগরের স্ত্রী।

জানা গেছে, বেডরুমের বেলকনির সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস নিয়েছেন রেমি। এর আগে রেমি ফেসবুক লাইভে এসে তাদের পারিবারিক কলহের কথা প্রকাশ করেন। এই ঘটনায় নিহতের পিতা আব্দুর রহিম চারঘাট থানায় বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা(মামলা নং-১৯/২৪) দায়ের করেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তের  জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহত রেমি তার পোস্ট করা ভিডিওতে বলেন, “আমি একটি বই লিখতে শুরু করেছিলাম। বইয়ের নাম রাখতে চেয়েছিলাম সুইসাইড। বই লেখা শেষ না করতেই আমি নিজেই সুইসাইড করলাম। বাবা-মা খারাপ হলে কিন্তু সন্তানরা খারাপ হয় না। এসব কথা শুনতে শুনতে বোর হয়ে গেছি। জীবন দিয়ে প্রমাণ করে দিতে চাই।” রেমি তার ভিডিওতে এমনটাই বলেছিলেন।

রেমির বাবা জানান, “গতকাল ১৭ জুন আমার মেয়ে ও জামাই আমার বাড়িতে এসে ঈদের দিন খাওয়া দাওয়া করে তারপর দুপুরের পরে বাড়ি ফিরে যায়। ১৮ জুন ভোরবেলা আমার জামাই আমার ছেলের কাছে ফোন দিয়ে আত্মহত্যার খবর দেয়।”

এ বিষয়ে চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ এস এম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আরও বিস্তারিত আপনাদের জানাতে পারব।”