ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতে নামায আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে দারুল উলূম দেওবন্দের নির্দেশনা

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৪, ২০২০

দেশে করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সামনে রেখে দেশের সকল নাগরিক, বিশেষত মুসলমানদের কাছে আমরা অনুরোধ করছি যে, এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারিকৃত নির্দেশনা অনুসরণ করুন এবং প্রিয় মাতৃভূমিকে এই মহামারী থেকে নিরাপদ রাখতে সহায়তা করুন। করোনা ভাইরাসের কারণে প্রশাসন যেসব স্থান লকডডাউন বা জনতা কারফিউ বলবৎ করেছে এবং জনসমাগম ইত্যাদি থেকে কঠোরভাবে নিষেধ করছে, সেসব স্থানের মসজিদ কর্তৃপক্ষের করণীয় হলো, মসজিদকে অনাবাদ (জামাত সহকারে নামায আদায় থেকে বঞ্চিত হওয়া) থেকে রক্ষা করার জন্যে এমন কোনো কর্মকৌশল অবলম্বন করবেন, যার ফলে একদিকে আইন রক্ষা পাবে, অন্যদিকে মসজিদ আবাদ থাকবে। তার একটি সম্ভাব্য সমাধান হলো, যেসব স্থানে গণজমায়েত থেকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হচ্ছে, সেখানকার ইমাম, মুয়াজ্জিন ও কয়েকজন মহল্লাবাসী মসজিদে পাঁচওয়াক্ত নামায আযানের সঙ্গে জামাত সহকারে আদায় করবেন। মহল্লার অন্যান্য নাগরিক নিজ নিজ ঘরে নামায আদায় করবেন। আর যেখানে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হবে, সেখানকার অধিবাসীদের করণীয় হলো, অযু ও তৎসংশ্লিষ্ট প্রয়োজনাদি সেরে ঘরেই সুন্নাত নামায আদায় করবেন। জামাতের সময় মসজিদে এসে, পরস্পরে দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করবেন। ফরজ নামায শেষে সুন্নত নামাযসমূহ ঘরে গিয়ে আদায় করবেন। মসজিদ কর্তপক্ষের করণীয় হলো, মসজিদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখবেন। প্রত্যেক মুসলমান এ বিশ্বাস লালন করবেন যে, কোনো রোগ বা মহামারী আল্লাহর হুকুম ব্যতীত কারো মাঝে সংক্রমিত হতে পারে না। মানুষের গুনাহের প্রভাবে মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটে। এজন্যে সকল মুসলমানের জন্যে সমীচীন হলো, নিজের দ্বীনি হালত পরিশোধিত করবেন, নিয়মিত সযত্নে নামায আদায় করবেন, সকল গুনাহ বর্জন করবেন এবং বেশি বেশি তাওবা-ইসতিগফার করবেন। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাওফিক দিন। মাওলানা আবুল কাসিম নুমানি মুহতামিম, দারুল উলূম দেওবন্দ ২৭ রজব ১৪৪১ হি. / ২৩ মার্চ ২০২০” .

অনুবাদ : মাওলানা আবদুল্লাহ আল ফারুক