ঝিনাইগাতীর গোমড়া গুচ্ছ গ্রামে দুর্দশা চরমে, দ্রুত সমাধানের দাবি দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১:৪৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৫ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গোমড়া গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা চরম দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। দীর্ঘ একযুগ ধরে অভাব-অনটন, কর্মসংস্থানের অভাব ও সরকারি সাহায্য-সহযোগিতার সংকটের কারণে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ২০১২ সালে বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট সিভিআরপি প্রকল্পের আওতায় উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে গোমড়া গ্রামে গুচ্ছ গ্রামটি নির্মাণ করা হয়। এখানে ৩০টি ভূমিহীন ও ছিন্নমূল পরিবার পুনর্বাসিত হয়। বর্তমানে এ গুচ্ছ গ্রামে প্রায় দুই শতাধিক মানুষের বসবাস, যাদের অধিকাংশই দিনমজুর। কয়েকজন ভিক্ষুক ও রিকশাচালক থাকলেও বেশিরভাগ মানুষই বেকারত্বের কষাঘাতে জর্জরিত। গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি আব্দুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জুনাব আলী জানান, সরকার তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই দিলেও কর্মসংস্থানের কোনো ব্যবস্থা করেনি। ফলে একদিন কাজ না করলে তাদের অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাতে হয়। এমনকি তারা সরকারি কোনো ভাতা বা সাহায্য-সহযোগিতাও পান না। শীত মৌসুমেও তাদের ভাগ্যে জোটেনি একটি কম্বল। একযুগ আগে নির্মিত গুচ্ছ গ্রামের ঘরগুলো সংস্কারের অভাবে বর্তমানে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া গ্রামের জন্য দায়সারাভাবে খনন করা একটি পুকুর শুকনো মৌসুমে পানিশূন্য হয়ে যায়। ফলে গুচ্ছ গ্রামবাসীরা গবাদিপশু ও গৃহস্থালির কাজে পানির সংকটে ভুগছেন। সন্ধ্যাকুড়া বর্ডার রোড থেকে গোমড়া গুচ্ছ গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে দুরবস্থায় রয়েছে। এতে কৃষি পণ্য পরিবহন, বন বিভাগের কাঠ সরবরাহ এবং সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি থাকলেও এখনো রাস্তাটি পাকাকরণ হয়নি। এ বিষয়ে নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান গুচ্ছ গ্রামের সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল জানান, সন্ধ্যাকুড়া-গোমড়া কাঁচা রাস্তাটি ইটের সলিংয়ের মাধ্যমে সংস্কার করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি গুচ্ছ গ্রামের অন্যান্য সমস্যাগুলোর সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে গুচ্ছ গ্রামবাসীরা চায়, প্রতিশ্রুতি নয়, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ। তারা চান টেকসই কর্মসংস্থান, সরকারি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যাতে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন। SHARES জাতীয় বিষয়: