এ কে খান ফুড অ্যান্ড বেভারেজের চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট বাতিল ও বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দাবি। দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:৫১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২৫ মোঃফজলে রাব্বি।। ঢাকার এ কে খান ফুড অ্যান্ড বেভারেজের নাটোরসহ ছয় জেলার ১১ জন পরিবেশক সরকারের কাছে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হাসান শরীফ খান রাজু সহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট বাতিল ও বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।গত শনিবার দুপুরে নাটোর শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা এই দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে এ কে খান ফুড অ্যান্ড বেভারেজের পরিবেশক নাটোরের হাফিজ গাফফার ও আবু বকর সিদ্দিক, রাজশাহীর মনিকা চৌধুরী, আবু রায়হান ও মনিরুল ইসলাম, বগুড়ার আতাউর রহমান, টাঙ্গাইলের আব্দুল মামুন ও নাসির উদ্দিন, রংপুরের রাসেল হোসেন, নওগাঁর শাজাহান আলী ও জিতেন্দ্রনাথ দাস উপস্থিত ছিলেন। নাটোরের পরিবেশক হাফিজ গাফফার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, এ কে খান ফুড অ্যান্ড বেভারেজের চেয়ারম্যান হাসান শরীফ খান রাজু, ভাইস চেয়ারম্যান এম এ আনোয়ার হোসেন, মার্কেটিং হেড জলি হোসেনসহ শীর্ষ কর্মকর্তাগণ চার বছর আগে তাদের সাথে ব্যবসার প্রস্তাব দেন। পরে তারা ব্যবসায়ীদের আস্থা ব্র্যান্ডের সোয়াবিন তেল সরবরাহ করার চুক্তিতে ২ কোটি ৫৮ লাখ ৬২ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু তারা সময় মতো পণ্য সরবরাহ করেন না এবং টাকাও ফেরত দেন না। কিছু ব্যবসায়ীকে চেক প্রদান করলেও উল্লেখিত হিসাবে টাকা না থাকায় চেক প্রত্যাখান হয়। এ অবস্থায় তারা বিভিন্ন জেলার আদালতে ওই প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পিবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থা তদন্তে সেই অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছে। ব্যবসায়ী হাফিজ গাফফার আরও জানান, নাটোর আদালতে দায়ের করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হাসান শরীফ খান রাজুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হয়। তিনি আদালতে হাজির হয়ে পরের তারিখের মধ্যে আপোষ করার শর্তে জামিন গ্রহণ করেন। কিন্তু আপোষ না করায় পরের তারিখে (২৬ ফেব্রুয়ারি) আদালত তার জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠান। বর্তমানে তিনি নাটোর কারাগারে রয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে এই ব্যবসায়ী আশংকা করেন, কোম্পানীর চেয়ারম্যান জামিনে মুক্ত হলে তিনি দেশ ছেড়ে পালাবেন। তার বিরুদ্ধে দেশের অন্যান্য জেলায় আরও অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে। তিনি শত কোটি টাকারও বেশি ঋণি। এ অবস্থায় তিনি সরকারের কাছে কোম্পানীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট বাতিল করার দাবি জানান। একই সাথে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চান। অভিযুক্ত হাসান শরীফ খানের নাটোরে নিযুক্ত আইনজীবী এরশাদুল হক শ্রাবণ জানান, তার মক্কেল ইতোমধ্যে উক্ত কোম্পানী থেকে তার সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। তাই তার পক্ষে পাওনাদারদের দাবি মেটানো সম্ভব না। তবে বর্তমান মালিকদের সাথে তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। SHARES অপরাধ ও দুর্নীতি বিষয়: