সাদুল্লাপুরে সন্ত্রাসী গডফাদার বিপ্লব গ্ৰেপ্তার

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১:২৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২৫

মোঃ সোহেল রানা।।

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের সন্ত্রাসীদের গডফাদার শাহরিয়ার খান বিপ্লব অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার। ১৫ই মার্চ (শনিবার) রাত ৯ টায় সাদুল্লাপুর শহর থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাইবান্ধার একটি পুলিশের টীম তাকে গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দ করে। এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মোঃ তাজ উদ্দিন আহমেদ নিশ্চিত করে বলেন, বিএনপি নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্ত্রাসী গডফাদার শাহারিয়ার খান বিপ্লব সাদুল্লাপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত: ফরহাদ খানের ছেলে। এ নিয়ে এলাকায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ছাত্রদের তীব্র গণআন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে শাহারিয়ার খান বিপ্লব আত্মগোপনে ছিল। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ দোসর হিসেবে শাহরিয়ার খান বিপ্লব থানা আওয়ামী লীগের বহুদিন সেক্রেটারি ও সহ-সভাপতি হিসেবে ছিল। সে (বিপ্লব) সাদুল্লাপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেয়। এলাকায় ত্রাসের রাজ্য কায়েম করে সন্ত্রাসীদের গডফাদার নামে পরিচিত। সে সাদুল্লাপুরে সরকারি অফিসে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি, জবরদখল, বাড়ি-ঘরে হামলা ও সম্পদ লুট, জুয়া, মদ, গাঁজাসহ ইয়াবা সম্রাট হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী অবৈধ সরকারের অবৈধ উপায়ে সে সাদুল্লাপুর উপজেলার চেয়ারম্যান ছিল। ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে (ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে) এলাকায় সম্মানিত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নামে হয়রানামূলক মিথ্যা মামলায় দিয়ে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিপ্লবের এ আক্রোশ থেকে বাদ যায়নি উপজেলার সবকটি ইউনিয়নের আলেম-ওলামা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ধাপেরহাট, জামালপুর, দামোদরপুর, ফরিদপুর ইউনিয়নের শান্তি প্রিয় শত শত মানুষদের কাছ থেকে মামলা বাণিজ্য করে। অনেক লোকের চাকরিচ্যুতি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলসহ নানা অপকর্ম করে আসছিল। ভোট কেন্দ্র দখল, জাল ভোট দিয়ে বাক্স ভর্তি, কারচুপি, সন্ত্রাস, সাংবাদিকের ওপর হামলা। অর্থাৎ ফ্যাসিস্ট অবৈধ সরকারের যত অপরাধ আছে তার সাথে সে জড়িত। সাদুল্লাপুর গার্লস স্কুলসহ উপজেলার প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ বাণিজ্যে করে। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে তার কিছু সহচর রয়েছে। এভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে দেশের বিভিন্ন শহরে (ঢাকা, বগুড়া, রংপুর) প্রায় ডজনখানেক বাড়ি করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে। তার নামে দুর্নীতি অনিয়ম, নাশকতা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য এবং চাঁদাবাজির কয়েকটি মামলা আছে। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সন্ত্রাসীদের গডফাদার শাহরিয়ার খান বিপ্লবের গ্রেফতারের খবর পেয়ে উপজেলা জুড়ে জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক স্বস্তি ও আনন্দ বিরাজ করছে। এলাকার মানুষ গভীর আনন্দের সাথে অপারেশন ডেভিল হান্টের প্রশাসনসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতে এ ধরনের সন্ত্রাসীর গডফাদারদের তৎপরতা ও উত্থান না হয় সে বিষয়ে অভিমত ব্যক্ত করেন। সন্ত্রাসী বিপ্লবের সহচরদের গ্রেফতর করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে অত্র উপজেলার শান্তি-শৃঙ্খলা ও পরিবেশকে শান্ত রাখার অনুরোধ জানান সচেতন নাগরিক সমাজ।