সরকারি আলিয়া মাদরাসার ছাত্রাবাস থেকে লোহার রড চুরির অভিযোগ

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২৫
সরকারি আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাস থেকে লোহার রড ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতব সামগ্রী চুরির অভিযোগ করেছেন। শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন যে, সহপাঠী এবং কর্মচারী সহ কিছু ব্যক্তি নিয়মিত এই অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত, যার ফলে প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে এবং মাদরাসার সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
সরকারি আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষের কাছে জমা দেওয়া অভিযোগে একটি ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ২৫ সালের ৬ই জুলাই রবিবার বিকেল ৪টায় ঘটেছিল। ১০৩ নম্বর কক্ষের চারজন শিক্ষার্থী – তানিম, ইসমাঈল, তাওহীদ এবং বাশার – মসজিদের কাছে ফুটবল আনতে গিয়ে একটি বিকট শব্দ শোনেন, যা শুনে মনে হয়েছিল কিছু ভারী জিনিস ওপর থেকে পড়েছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করতে মসজিদের দিকে যান।
মসজিদের গেটে নক করার পর কেয়ারটেকার নাকি বলেছিলেন, “ওহ, তোমরা এসেছ?” শিক্ষার্থীরা তাদের বিস্ময় প্রকাশ করলে কেয়ারটেকার নাকি জানান যে, ছাত্রাবাসের ৩য় তলার ফারুক নামের একজন তাকে ফোন করে জানিয়েছিল যে, তার লোকেরা আসবে।
শিক্ষার্থীরা এরপর ছাত্রাবাসের ছাদে গিয়ে দেখেন বেশ কয়েকজন ডাব পাড়ছে। কিছুক্ষণ পর তারা দেখেন, ৩৭০ নম্বর কক্ষের ওমর ফারুকের রুমমেট সিফাত মসজিদে প্রবেশ করছে। তারা প্রথমে ভেবেছিলেন সিফাত ডাব নিতে এসেছে। তবে, তানিম দেখেন সিফাত এবং কেয়ারটেকার মিলে লোহার রডের একটি বস্তা বের করছেন।
এ বিষয় ওমর ফারুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। আমি শুনেছি রড গুলো পরিত্যক্ত ছিলো তাই সিফাত শ্রমিকদের কাছ থেকে নিয়ে এসেছে। একটি মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিষয়টাকে বড়ো বানানোর চেষ্টা করছে। আর এক অভিযুক্ত সিফাতের কাছে এ বিষয় জানতে চাইলে সে বলে রড গুলো অনেক দিন দরে ছাদের মধ্যে থাকার কারনে এ গুলো গুনার মতো হয়ে গেছে এ গুলো থেকে কোন কাজ হবে না এমনটা ও খানে কাজ করা শ্রমিক ও সাইড ইঞ্জিনিয়ার আমাকে বললে আমি ঐ গুলো নিয়ে আসি কিন্তু ভালো রড গুলো এখনও ওখানে আছে।
শিক্ষার্থীরা মাদরাসা প্রশাসনকে যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করেছে। তারা ঢাকা আলিয়া মাদরাসার সম্পদের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছে। শিক্ষার্থীরা আশা প্রকাশ করেছে যে অধ্যক্ষের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মাদরাসার পরিবেশ আরও শিক্ষার্থী-বান্ধব, মনোরম এবং নিরাপদ হয়ে উঠবে।
অভিযোগটি সরকারি আলিয়া মাদরাসার উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আশরাফুল কবীর গ্রহন করেছেন।
মাঈদ হাসান।।