শেরপুরে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২৪ মোঃ মুরাদ মিয়া।লাঠি খেলার ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে ভাংরীপাড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে খেলাটি ৷ বিলুপ্তপ্রায় এ খেলা দেখে উচ্ছ্বসিত গ্রাম বাংলার মানুষেরা ৷ শেরপুর সদর উপজেলার ভাংরীপাড়া যুব সমাজের উদ্যোগে’ এর ২য় বারের মতো শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে সাহাব্দির চর ভাংরীপাড়া ঈদগাহ মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় এ লাঠিখেলার। বগুড়া থেকে আগত খেলোয়াড়রা এ লাঠিখেলা প্রদর্শন করেন। খেলায় ঢাকের তালে তালে শারীরিক কসরত দেখান খেলোয়াড়রা। প্রথমে ঢাকের তালে নৃত্য এরপর চোখ ধাঁধানো লাঠিতে লাঠি দিয়ে তালে তালে আঘাতের দৃশ্য দেখে আনন্দে উচ্ছাসিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসী। গ্রামের ছোট ও বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষেরা এ লাঠিখেলা দেখতে ভিড় করেন। সাহাব্দির চর ভাংরীপাড়া গ্রামের বয়োবৃদ্ধ তাজি হোসেন বলেন, আমাদের বাপ দাদারা আগে প্রতি মাসে গ্রামগঞ্জে এ লাঠিখেলার আয়োজন করতো। শেষ কবে এ খেলা দেখেছি তাও মনে নেই। তবে বেঁচে থাকতে নিজ গ্রামে আবারও এ মনোমুগ্ধকর লাঠিখেলা দেখতে পারবো তা কোনোদিন ভাবতে পারিনি। পাশের ইউনিয়নের আবু সাঈদ ও গোলাপ বলেন, গ্রামে লাঠিখেলা হবে শুনে শেরপুর শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছি। লাঠিখেলা দেখে অনেক ভালো লেগেছে। এই প্রথম এমন খেলা দেখলাম। এর আগে ইউটিউবে ফেসবুকে দেখেছি। ইউটিউবে দেখা আর বাস্তবে দেখা আকাশ-পাতাল তফাৎ। অনুষ্ঠানের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান দুলাল বলেন, আমরা গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া খেলাগুলোর আয়োজন করেছি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা। এ লাঠিখেলা দেখে গ্রামের মানুষ খুব আনন্দিত। পর্যায়ক্রমে এমন আয়োজন হলে যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখা যাবে যেমন, তেমনি ঐতিহ্যগুলো টিকে থাকবে। উল্লেখ লাঠি খেলার পূর্বে হাড়ি ভাঙ্গা ও হাঁস খেলার আয়োজন করা হয়েছিলো ৷ মোজাহিদুল ইসলাম সুমনের সঞ্চালনায়,অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,চরমোচারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস.এম .সাব্বির আহাম্মেদ খোকন ,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,চরমোচারিয়া ইউপি সদস্য খন্দকার মিজানুর রহমান মিজান,ফটিক মিয়া ,মোশারফ সহ প্রমুখ ৷ SHARES জেলা/উপজেলা বিষয়: