অপ্রয়োজনীয় বাঁধ আর জলাবদ্ধতায় বন্যার আশংকায় লক্ষীপুর জেলার রায়পুর দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৫:২২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২৪ মো:শরীফ হোসেন।লক্ষীপুর জেলা একসময় নোয়াখালী হিসেবে পরিচিতি থাকলেও আজ স্বতন্ত্র লক্ষীপুর হিসেবেই সারাদেশে পরিচিত। বৃহত্তর নোয়াখালী হতে বিভক্ত হলেও নোয়াখালী লক্ষীপুরকে যেকোনো দূর্যোগে কাছে রাখে।তারই সাক্ষী হতে যাচ্ছে সাম্প্রতিক চিত্রগুলো।লক্ষীপুর জেলার অধিকাংশই উপকূলীয় অঞ্চল।সামান্য বৃষ্টিপাতেই জেলার বিভিন্ন অঞ্চল তলিয়ে যায়।তাছাড়া মেঘনার গাঁ ঘেঁষে অবস্থিত বিদায় বন্যা ঘন ঘন স্বাগত জানায়।দু দফা ভারী বর্ষনে এ জেলার অধিকাংশ খাল,পুকুর,জলাশয় ইতিমধ্যে টইটম্বুর। ভেসে গেছে অনেকের গৃহপালিত পশুপাখি, কৃষকের স্বপ্ন লুন্ঠিত হয়েছে মাঠে ঘটে,জেলের স্বপ্ন ঘুরছে বিলে আর ঝিলে। তবে প্রকৃতিই এ অবস্থা সৃষ্টির জন্য একমাত্র দায়ী নয়।কিছু ক্ষেত্রে কিছু ক্ষমতাধর স্বার্থপর মানুষও দায়ী। তারা নিজেদের হীন স্বার্থ পূর্ন করতে পানিপথের অনেকটা জায়গায় বাঁধ দিয়ে রেখেছে। ফলে পানি চলাচলের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে।মানুষজন হয়ে যাচ্ছে পানিবন্ধি,জনজীবন হচ্ছে বিপর্যস্থ।জেলার রায়পুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা যাচ্ছে খালের বিভিন্ন স্থানে,পুকুর বা বিলের প্রান্তে বাঁধ বা রাস্তা করে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার ফলে জনজীবনে যেমন বিপর্যয় নেমে এসেছে তেমনি দেখা দিচ্ছে সম্ভাব্য বন্যা। প্রশাসন যদি এখনই বাস্তবতা মেনে পদক্ষেপ না নেয় তাহলে এই অঞ্চলের ক্ষতি বাড়িয়ে নিমিষেই নিমজ্জিত হবে ভয়াবহ বন্যা,আক্রান্ত হবে লক্ষ লক্ষ জীবন। জনগণের প্রানের দাবি, সরকার যেন স্বার্থান্বেষী মহলের এই বাঁধগুলোকে কেটে পানিপথ স্বচ্ছল করে এবং এই অঞ্চলের মানুষকে বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: