নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে প্রত্যান্ত অঞ্চলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২৫

মোঃআলমগীর হোসেইন।।

দেশের অর্ধেক ধর্ষক এখনও মুক্ত বাতাসে ঘুরছে। তাদের ভয়ে আতংকে দিন কাটায় নির্যাতিত নারী। বিচার না পেয়ে ক্রোধে আত্মহত্যা করেন অনেকেই। এই হার প্রতিনিয়ত বেরেই যাচ্ছে। দিনদিন নারীরা দূর্বল হয়ে পরছেন। এখন সময় এমন হয়েছে যে ভয়ে বিচার চাইতে পারেন না অনেকেই। নারীদের এই দূর্বলতার পেছনে অনেকক্ষেত্রে তাদের পরিবারের লোকেরাই দায়ী। বাবা মায়ের ভয় থাকে, সমাজে মেয়ের বদনাম হবে। মেয়ের বিয়ে হবেনা। বাবা মা সমাজে মুখ দেখাতে পারবেন না, এরকম অনেক ভয়েই চুপ করে থাকেন তারা। এভাবেই গ্রামগঞ্জের অধিকাংশ ঘটনা চাপা দিয়ে দেয় মেয়ের বাবা মা। এরপর দিনের পর দিন ধর্ষক ঘোরে মুক্ত বাতাসে। আর ধর্ষিতারা কাদে বদ্ধ ঘরে। গত ছ’মাসের সমস্ত ধর্ষনের অভিযোগ ঘাটলে দেখা যায় বেশিরভাগ ধর্ষন’ই মেয়ের পরিচিতদের মধ্যে থেকে হয়। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে। মেয়ের নানা, মেয়ের চাচা, মেয়ের শিক্ষক কারো কাছেই যেনো নিরাপদ না মেয়েরা। শিশু থেকে কিশোরী সবাই এদের এখন অনিরাপদ। বাবার কাছেও মেয়েরা এখন নিরাপদ নেই। এরকম ঘটনা অনেক দেখা যাচ্ছে ইদানীং। নিকটাত্মীয়র থেকে হওয়া নিপিড়ন ধামাচাপা পরে যায় অচিরেই। এর বিচার কেউই চায়না। গ্রামগঞ্জে মেম্বার/চেয়ারম্যানের ছেলেদের অত্যাচারে দিন কাটায় অনেক মেয়ে। ধর্ষণের পরেও বিচার চাইতে পারেন না অনেকেই। গ্রামের ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের দেখে দিনের পর দিন ভয় পেয়ে কাটায় গ্রামের নিপিড়ীত নারীরা। শহরেও এই ঘটনা দেখা যায়। মেয়ের বাবা মা ঘটনা ধামাচাপা দিতে মেয়েকে পাঠিয়ে দেয় গ্রামে। দেখে মনে হয় ধর্ষিতা নারী ধর্ষিত হয়েও অপরাধ করেছে। লাঞ্চনায় দিন কাটে নিপিড়ীত নারীদের। এভাবেই বিচারহীনতায় আত্মহত্যা করে মারা যায় সমাজের অধিকাংশ নিপিড়ীত নারী। অনেক ঘটনা বালিস ভিজিয়ে ভুলে যায় শিশু, কিশোরীরা। এ থেকেই বোঝা যায় ধর্ষণ রোধ করতে হলে আগে আমাদের নিজেদের পরিবর্তন হতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ বলছে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, ও কিছুক্ষেত্রে যাবৎ জীবন কারাদণ্ড। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে দেখা যায় ধর্ষণের মামলা হলে সেখানে একশোটা প্রশ্ন ধেয়ে আসে মেয়ের দিকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধর্ষকের চেয়ে বেশি ধর্ষিতার ছবি ছড়িয়ে পরে সারাদেশে। রাতারাতি লাঞ্চনা বৃদ্ধি পায় দ্বিগুণ আকারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়ের পরিবার বাধ্য হয়ে ধর্ষকের সাথে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেয়। এরপর ঘৃনায় লজ্জায় মাথা নিচু করে সংসার জীবন কাটায় সেই নারী। উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী বক্তারা বক্তব্য রাখেন এবং বর্তমান সমাজে ধর্ষিতার ছবি ফেসবুকে আসার আগে ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।