কেন্দুয়ায় সাঁতারখালি খাল থেকে মরদেহ উদ্ধার

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৩৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২৫

কোহিনূর আলম।।

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার এক কাঁচামাল /সবজি ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ । শনিবার (২২ মার্চ) সকালে কাঠাহোসিয়া নামক স্থানে সাঁতারখালি নদী/খালে মৃত দেহ খোঁজে পায় স্থানীয়রা । পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে ক্ষতবিক্ষত এ মৃত দেহ । ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার (২১মার্চ) দিবাগত রাতে গড়াডোবা ইউনিয়নের বাঁশাটি বাজার থেকে ব্যবসায় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাঁতারখালি নদী/খালের পাড়ে এ হত্যাকান্ডের শিকার হোন তিনি । জানা গেছে, নিহত সবজি ব্যবসায়ীর নাম মোঃ তারা মিয়া (৬৫) । তিনি গড়াডোবা ইউনিয়নের ওয়াই (উত্তর পাড়া) গ্রামের বাসিন্দা মৃত আইয়ুব আলীর পুত্র । চট্টগ্রামের হাওলাপুরির মুরিদান ছিলেন । সরেজমিনে কথা হয় নিহত তারা মিয়ার স্ত্রী, ছেলে শাহারুল ইসলাম টুটন, ছোট ভাই সোলাইমান ও ভাগ্নি বিনার সাথে । তারা কেউই হত্যাকান্ডের কারণ সম্পর্কে কিছু বলতে পারেন নি । স্ত্রী বেদনা আক্তার বলেন, সাধারণত রাত ১০/১১ টায় বাড়ি ফিরত আমার স্বামী । ভাত তরকারি রেখে আমি ঘুমিয়ে পড়তাম । গত রাত সেহরির সময়ে জানতে পারি, উনি বাড়ি আসে নি । এরপর আমি তার ছোট ভাই ও অন্যান্যদের জানাই । আর ভোরে উঠে জানতে পারলাম তিনি নেই । তিনি আরো বলেন, আমার স্বামীর সাথে কারো ঝগড়া বা শত্রুতা ছিলো না । আমি এই হত্যার বিচার চাই । নিহত তারা মিয়ার ছোট ভাই মোঃ সোলাইমান (৫০) বলেন, ভাইকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে সকালে চৌপার পুলের কাছে গিয়ে ভাইয়ের জুতো ও রক্তমাখা ব্যাগ পাই এবং কান্নাকাটি ও ভাইকে খোঁজাখুঁজি করে বাড়ি ফিরে আসি । এরপর বাড়িতে খবর আসে পুলের কাছেই সাঁতারখালি খালে ভাইয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে । আমরা জানি না কে বা কারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত । নিহতের ভাগ্নি রিমা (২৯) আক্তার বলেন, আমার মামার মুখ, চোখ ও মাথায় যেভাবে আঘাত করা হয়েছে নিশ্চিত যে তা পরিকল্পিত । তিনি আরো বলেন, কোন সন্ত্রাসী ছাড়া এমন নৃশংসভাবে কেউ হত্যা করতে পারে না । এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান মুঠোফোনে জানান, মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে । আঘাতের চিহ্ন দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড ।