ভাঙ্গায় কন্যাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ প্রবাসী বাবা ও চাচার বিরুদ্ধে দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১:০০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২৫ মোঃ রিপন শেখ।। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কলেজ পড়ুয়া কন্যাকে জোর করে সাবান পানি খাওয়াইয়া হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রবাসী পিতা শাহাবুদ্দিন, চাচা কাইয়ুম ফকির সহ পরিবারের বিরুদ্ধে। এঘটনায় বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী কন্যা সামিয়া আক্তার বাদি হয়ে ভাঙ্গা থানায় সৌদি আরব প্রবাসী পিতা শাহাবুদ্দিন ও রিয়াদ যুবলীগের প্রধান উপদেষ্টা চাচা কাইয়ুম ফকির সহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করেন। সামিয়া ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের কাফেরপুর গ্রামের প্রবাসী শাহাবুদ্দিনের কন্যা। এর আগে ঘটনাটি গত ১২ এপ্রিল শনিবার রাত ৯টার দিকে সামিয়াকে জোর করে সাবান পানি খাওয়ানো হয়। সামিয়ার লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আমার পিতা শাহাবুদ্দিন ফকির তিনটি কন্যার সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে পরকিয়া করে এক মহিলাকে গোপনে ২০২২ সালে বিয়ে করেন। বিয়ে করার পর থেকে আমার বাবা আমাদের তিন বোনকে ও আমার মাকে অমানুষিক নির্যাতন শুরু করেন। গত শনিবার আমাকে আমার পিতা, সৎ মা, চাচা ও ফুফুরা মিলে আমাকে জোর করে সাবান পানি খাওয়াইয়া হত্যার চেষ্টা করে। গুরুতর অবস্থায় আমাকে ভাঙ্গা হাসপাতাল থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করাই। এরপর কিছুটা সুস্থ্য হয়ে বাড়ি গেলে আবারো নির্যাতন শুরু করে। আমাদের থাকার ঘরটি ভেঙে ফেলে, জামা কাপড় আসবাবপত্র, হাঁস, মুরগী উধাও করে ফেলে। এরপর আমার তিন বোন সহ মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর আমি ভাঙ্গা থানায় অভিযোগ করি। বর্তমানে মা সহ আমরা ৩ বোন আশ্রয়হীন অবস্থায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি এবং মানবেতার জীবন যাপন করছি। এ বিষয় সামিয়ার মা সালমা বেগম বলেন, আমার স্বামী শাহাবুদ্দিন ফকির প্রবাসে থাকাকালে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। সে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকেই আমার ও মেয়েদের উপর নির্যাতন বাড়তে থাকে। আমি বাবার বাড়ি বেড়াতে গেলে আমাদের বসবাসের ঘর ভেঙে ফেলে। আমাদেরকে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেন। এতে আমার বড় মেয়ে প্রতিবাদ করলে সবাই তাকে জোর করে সাবান পানি খাওয়াইয়া হত্যার চেষ্টা করে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় সামিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করি। অভিযুক্ত পিতা শাহাবুদ্দিন ফকির বলেন, আমি ২০২১ সালে আমার স্ত্রী সালমাকে একতরফা ভাবে তালাক দিয়ে আরেকটি মহিলাকে বিয়ে করি। মেয়েরা মাঝে মধ্যে তাদের মাকে সাথে নিয়ে বাড়িতে আসে। ঘটনার সময় আমরা উঠানে বসা ছিলাম, পরে চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি সামিয়া মাটিতে পড়ে আছে। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই কিন্ত আমি মেডিকেল পর্যন্ত যাইনি। তবে মা-মেয়ের পরিকল্পনা আমাদেরকে ফাঁসাতে চেষ্টা করছে। এ ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফজাল হোসাইন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে গিয়েছিলাম। সামিয়ার ভাষ্যমতে, তাকে জোর করে সাবান মেশানো কিছু খাওয়ানো হয়েছিল। অন্যদিকে, অভিযুক্তদের দাবি, সামিয়া নিজের ইচ্ছায় এমন কাজ করেছে। তবে তদন্ত করে আসল রহস্য উদঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। SHARES অপরাধ ও দুর্নীতি বিষয়: