বানারীপাড়ায় ভাতিজার শাবলের আঘাতে চাচা সুলতান খানের মৃত্যূ দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২৫ মো: সাইদুল ইসলাম।। বরিশালের বানারীপাড়ার ইলুহারে জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ভাতিজা রুবেলের শাবলের আঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার ২১ দিন পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলতান হোসেন (৪৫) নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী ইন্তেকাল করেছেন। ২৬ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৫টার সময় ঢাকা’র পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যূ হয়। সুলতান হোসেন খান উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মলুহার গ্রামের বাসিন্দা।আর রুবেল নিহতের বড় ভাই শাহজাহান খান’র ছেলে।এ ঘটনায় ওই সময় ৬ এপ্রিল নিহত সুলতান হোসেন খানের বোন নাসিমা বেগম বাদী হয়ে বড় ভাই শাহজাহান খান, তার ছেলে রুবেল খান, ভাতিজার স্ত্রী লামিয়া আক্তার, বোন নিলুফা বেগম ও মারুফা বেগম, ভগ্নিপতি মোশারফ হোসেন এবং শাহ আলমকে সুনির্দিষ্ট ও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বানারীপাড়া থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন নিহতের বড় ভাই শাহজাহান খান ও ভাতিজা রুবেল খান’কে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।গ্রেফতারকৃতরা বর্তমানে বরিশাল জেলহাজতে রয়েছেন। পারিবারিক সুত্র জানায়,নিহত সুলতান হোসেন খান বানারীপাড়ার পার্শ্ববর্তী স্বরূপকাঠি উপজেলার ইন্দের হাট বন্দর বাজারে সুনামের সাথে কাপড় ব্যবসা করে আসছিলেন। উল্ল্যেখ্যযে, জমির ভাগা-ভাগি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ৫ এপ্রিল শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের মলুহার গ্রামে দুই ভাই শাহজাহান খান ও সুলতান হোসেন খানের মধ্যে বাকবিতন্ডার সময় শাহজাহান খানের ছেলে রুবেল খান চাচা সুলতান হোসেন খানকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এ সময় শাহজাহান খান ও তার ছেলে রুবেলের স্ত্রী লামিয়াসহ অপর আসামীরা কোদাল, পাইপ দিয়ে দিয়ে সুলতান খান’কে আঘাত করেন। ওইদিন রাতেই মুমুর্ষ অবস্থায় সুলতান হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা’র পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ৬ এপ্রিল রবিবার সুলতান হোসেন খানের বোন নাসিমা বেগম বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় মারধর ও হত্যা চেষ্টার একটি মামলা দায়ের করলে ওই দিনই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী শাহজাহান খান, রুবেল খান ও লামিয়াকে গ্রেফতার করে বরিশাল জেলহাজতে পাঠায় বানারীপাড়া থানা পুলিশ।পরে রুবেলের স্ত্রী লামিয়া আক্তার জামিনে বের হলেও শাহাজান খান ও তার ছেলে রুবেল খান অদ্যবধি বরিশাল জেলহাজতে রয়েছেন। এ ব্যাপারে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মোস্তফা জানান, গুরুতর আহত সুলতান হোসেন খান ঢাকা’য় চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গিয়েছেন বলে জেনেছি। এ ঘটনায় পূর্বে দায়েরকৃত মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করে দ্রুত বাকী আসামীদের গ্রেফতার ও প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ও তিনি জানান। SHARES অপরাধ ও দুর্নীতি বিষয়: