নওগাঁয় ছবি ফেসবুক ও টিকটকে ছড়িয়ে দিয়ে দাবি করা হয় ৫ লাখ টাকা চাঁদা,সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:১০ অপরাহ্ণ, মে ১, ২০২৫
সাইফুল ইসলাম।।
নওগাঁয় ভূয়া এফিডেভিট তৈরি করে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে বিয়েসহ ফেসবুক ও টিকটকে ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রীর মা মনোয়ারা বিবি বাদী হয়ে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে খাজেদ আলী নামের এক ব্যক্তিকে। অভিযুক্ত খাজেদ আলী নওগাঁর মান্দা সদর ইউনিয়নের কয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রী ও দু সন্তান রয়েছে। আদালতের নির্দেশে নওগাঁ পিবিআই মামলাটি তদন্ত করছে। মামলার বাদী মনোয়ারা বিবি বলেন, আমার মেয়ে স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী। টিউশনি পড়তে যাওয়ার পথে গত বছরের ১০ অক্টোবর আসামী খাজেদ আলী তাকে রাস্তা থেকে তুলে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ভঁয়ভীতি দেখিয়ে একটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে মেয়ের সাক্ষর নেওয়া হয়। বিষয়টি প্রকাশ না করতেও মেয়েকে হুমকি দেন আসামী। মেয়ের স্বাক্ষরিত ফাঁকা স্ট্যাম্পে নওগাঁ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে সম্পাদন দেখিয়ে বিয়ের কাগজপত্র তৈরি করেন এবং পরে সেই ভূয়া এফিডেভিট ও মেয়ের কিছু ছবি ফেসবুক ও টিকটকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। দাবি করা হয় ৫ লাখ টাকার চাঁদা। এ ঘটনায় রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ১৯ ফেব্রুয়ারী মামলা করেছি। বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে মনোয়ারা বিবি অভিযোগ করে বলেন, আসামী খাজেদ আলীর স্ত্রী মারুফা আক্তার আমার মেয়েকে সতীন দাবি করছে। সেই উদ্ধৃতি দিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করাও হয়েছে। যা ভিত্তিহীন ও মানহানীকর।
এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত খাজেদ আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে নওগাঁ পিবিআইয়ের ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আদালতের নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। খুব শিগগিরই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।