নেত্রকোণার পূর্বধলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৪ হাজার ৭৭৯ ভোট বাতিল

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:২১ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২৪

মো: পিয়াস।নেত্রকোণার পূর্বধলায় ২য় ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন পদে ১ ৪হাজার ৭৭৯টি ভোট বাতিল বলে গণ্য হয়েছে। এত বিপুল সংখ্যক ভোট বাতিল হওয়ার বিষয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন নির্বাচন অফিস থেকে সরবরাহকৃত সীল, স্ট্যাম্প প্যাড, কালি ইত্যাদি নিম্নমানের উপকরণের কারণেই অনেকটা এমনটা হয়েছে। আবার নির্বাচন অফিসের লোকজন বিষয়টিকে স্বাভাবিক অভিহিত করে কারণ হিসেবে ভোটারদের অজ্ঞতা ও অসাবধনতাকেই দায়ী করছেন।

২য় ধাপে ২১ মে অনুষ্ঠিত হয় নেত্রকোণার পূর্বধলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে প্রশাসনের অতিরিক্ত সতর্কতার কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবেই সম্পন্ন হয়। নির্বাচনে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৭০৫ জন ভোটারের মধ্যে ১ লাখ ১১ হাজার ৩৫জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। প্রদত্ব ভোটের শতকরা হার ৪০ ভাগের উপরে। নির্বাচনী ফলাফলে পুরো নির্বাচনে তিন পদে ১৪ হাজার ৮৪৯টি ভোট বাতিল বলে গণ্য হয়েছে। তার মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বাতিলকৃত ভোট রয়েছে ২৭৯৫, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭২৮ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৫৬টি ভোট বাতিল হয়েছে।
ধলা যাত্রাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটার মো. আব্দুল হেলিম মন্ডল, পূর্বধলা জগৎমণি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার মো: আাজিজুল হক খোকন, মোছা. কামরুন্নাহার জানিয়েছেন ভোট দেওয়ার জন্য সীল, কালী ছিল খুবই নিম্নমানের। তাছাড়া ভোট দেওয়ার সীলে একবার কালি লাগিয়ে দেওয়ায় বুথের ভিতরে গিয়ে তিনটি মার্কায় ঠিকভাবে সীল মারা যায়নি। তৃতীয় নাম্বার ব্যালটে সীল ছিল একেবারেই অস্পষ্ট। ব্যালটের প্রতীকগুলোও বাস্তবের সাথে মিল ছিল কম যেমন আইসক্রিমকে মনে হয়েছে ফুলের মত আর উড়োজাহাজ প্রতীককেও চেনা যায়নি। ইত্যাদি কারনেও ভোটারদের ভোট দিতে সমস্যা হয়েছে।
উপজেলার একাধিক কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক প্রিজাইডিং অফিসার জানিয়েছেন, এ বছর নির্বাচনী উপকরণের মাঝে সীল, কালি, স্ট্যাম্প প্যাড ছিল একেবারেই নিম্নমানের। সীলগুলোর মান ভালো ছিল না এবং স্ট্যাম্পে কালিও ছিল কম আর সরবরাকৃত কালিও ছিল নিম্নমানের এতে ভোটগ্রহণের সমস্যা হয়েছে। পরে সহকারি রিটার্নিং অফিসার স্যারের সাথে যোগাযোগ করে নতুন করে প্যাড ও কালি কিনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন যে কোনো নির্বাচনে এমন কিছু পরিমাণ ভোট বাতিল বলে গণ্য হয়। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অনেক ভোটাররা বোঝতে না পেরে সঠিক জায়গায় সীল মারতে পারেন না তাছাড়া কেউ কেউ একাধিক প্রতীকে সীল মেরে থাকেন ফলে ওই ভোটগুলোও বাতিল হয়ে যায়।
নিম্নমানের উপকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, কোন কোন কেন্দ্রে এমনটি হয়েছে। তবে বেশি সমস্যাপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে নতুন করে পুনরায় স্ট্যাম্প প্যাড ও কালি সরবরাহ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার মো. খবিরুল আহসান বলেন, ভোটারদের অসাবধানতার কারণে এমনটি হতে পারে।