ডিমলায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫:৪৯ অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০২৪

মোঃ আবু হোসেন।নীলফামারীর ডিমলায় স্কয়ার ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়, বৃহস্পতিবার উপজেলার শালহাটী গ্রামের বুলেট মিয়ার স্ত্রী তুলি আক্তার (২২) কে প্রসব বেদনা নিয়ে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক পরীক্ষার পর রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

কিন্তু উপজেলা সদরের মেডিকেল মোড়ে প্রয়োজনীয় (কাগজপত্র) ছাড়াই অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্কয়ার ক্লিনিকের অজ্ঞাত দালাল রোগীর লোকজনদের বুঝিয়ে রংপুরে না নিয়ে প্রচন্ড প্রসব বেদনা নিয়ে ওই ক্লিনিকে তুলি আক্তারকে ভর্তি করান। ওই রাতে ডিমলা স্কয়ার ক্লিনিকে ডাঃ না থাকায় ক্লিনিকের দায়িত্বরত লোকজন টালবাহানা করে রোগীর সিজার না করেই রাত কাটিয়ে দেন। পরদিন শুক্রবার সকালে রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে ক্লিনিক কতৃপক্ষ তারাহুরা করে রোগীটির সিজার করে বাচ্চা প্রসব করালেও দুইঘন্টা পর্যন্ত কাটা অংশ দিয়ে রক্ত বন্ধ করতে না পারায় রংপুরে রেফার্ড করেন।

রংপুর নিয়ে যাওয়ার পথে ডিমলা উপজেলা ছোটপুল নামক স্থানে প্রসূতির মৃত্যু হয়। সিজার করার আগে রক্তের হিমোগ্লোবিন, হেপাটাইটিস বি, প্রেসার পরিমাপ,ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাফি কিছুই পরীক্ষা না করেই সীজার করার জন্য সরাসরি অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়।ওই ক্লিনিকে বৈধ কাগজপত্র ও জণবল না থাকায় গত (০৫মার্চ) নীলফামারী সিভিল সার্জন ডাঃ হাসিবুর রহমান ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেন। এবং ডিগ্রি না থাকায় ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমবিবিএস ডাঃরাজু আহম্মেদকে দিয়ে সিজার ও ডাঃ সঞ্জীব কুমার শিং কে দিয়ে অ্যানাস্থাসিয়া না করানোর নির্দেশ প্রদান করেন।

পরবর্তীতে একমাস যেতে না যেতেই বৈধ কাগজপত্র ও জণবল না থাকলেও ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুজ্জামান ক্লিনিকটি খুলে দেন।বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নিয়ম অনুসারে প্রতিটি ক্লিনিকে তিনজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছয়জন ডিপ্লোমা নার্স ছাড়া ক্লিনিক পরিচালনা করা যাবেনা মর্মে সরকারী নির্দেশ থাকলেও। ওই ক্লিনিকে সরকারী নির্দেশনার কোন বালাই নেই। ক্লিনিকটিতে নিয়মিত সার্জারী করে আসছেন ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের এমবিবিএস ডাঃ রাজু আহম্মেদ (কোন বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি নেই)। এছাড়াও ড়িগ্রি বিহীন ডাঃসঞ্জীব কুমার শিং কে অ্যানাস্থাসিয়া  করানো হয়।ঘটনা ধামাটাপা দিতে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে স্থানীয় কিছু সাংবাদিকদের ম্যানেজ রোগীর লোকজনদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে প্রসূতির লাশ দাফনে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানানেই, কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডাঃ রাজু আহম্মেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।