খুলনার কয়রায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত সেই প্রধান শিক্ষক হাসপাতালে মারা গেছেন

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২৪

অরবিন্দ কুমার।খুলনার কয়রা উপজেলার কয়রা মদিনাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমন এমন রেজাউল করিম (৫৩)-কে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে দিনের বেলা প্রকাশ্যে পিটিয়ে আহত করার চার দিন পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ তে মারা গেছেন। প্রতিপক্ষের সঙ্গে পারিবারিক কলহ ও জমিজমার বিরোধ নিয়ে তাঁকে প্রচন্ড মারপিট করা হয়।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শিক্ষক কে হত্যা করায় ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থী, স্বজন ও এলাকাবাসী।এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদশী সুত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম কয়রা বাজার হতে বিকালে বাড়ি ফেরার পথে রশিদ মোল্লার মোড়ে পৌছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী মেহেদী হাসান লিটন, সেলিম, সোহরাব মোল্লা সহ সঙ্গীরা পথ আটকিয়ে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে তর্ক করতে থাকে।

এসময় লিটন, সেলিম, সোহরাব মোল্লার সঙ্গীরা তাকে প্রচন্ড মারপিট করে।নিহতের কন্যা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, জমিজমা নিয়ে পারিবারিক শক্রতা বহু দিনের।আমার আব্বা শান্তি প্রিয় মানুষ ছিলেন। তিনি শিক্ষকতা নিয়েই পড়ে থাকতেন। জমির জন্য আমার আব্বা কে মেহেদী হাসান লিটন সহ পনের থেকে সতের জন প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করে।

আমি আমার আব্বার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষক রেজাউল করিমের মারধরের বিষয়টি এবং তার মৃত্যুর সংবাদও শুনেছি । এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।