দলীয় রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন গড়ার দাবিতে খুবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫:৪৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০২৪

মো: নাজমুল হক।দলীয় রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন, বৈষম্যহীন সমাজ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দাবিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উদ্যোগে আজ ১২ আগস্ট (সোমবার) অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। বেলা ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. ইয়াছিন আলী ও এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. আব্দুল্লাহ ইউসুফ আল হারুন। এ কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।এ সময় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার জন্য, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষ বার বার সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে। বিদেশি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন করেছে। মানুষ ভেবেছিল তারা শোষণ, বঞ্চনা, দুর্নীতি, লুট-পাট থেকে মুক্তি পাবে।

কিন্তু তারা মুক্তি পায়নি। এদেশীয় স্বৈরশাসকরা বার বার একই কায়দায় এদেশের মানুষের উপর জুলুম, নির্যাতন, স্বৈরশাসন কায়েম করেছে। মানুষকে দাসে পরিণত করা হয়েছে। সত্য-ন্যায়ের কথা বলতে দেয়া হয়নি। দেশীয় স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষ বার-বার রক্ত দিয়েছে, একটি শোষণহীন বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু তাদেরকে বার-বার ঠকানো হয়েছে। তাদের রক্তকে অপমান করা হয়েছে। একই উদ্দেশ্যে সম্প্রতি আবারও এদেশের ছাত্র-জনতা সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে। শত-শত প্রাণের বিনিময়ে আজ এদেশে নতুন সূর্য উদয় হয়েছে।বক্তারা আরও বলেন, এদেশের মানুষ আর ঠকতে চায়না। তারা চায় একটি শোষণহীন, বৈষম্যহীন আলোকিত বাংলাদেশ, সোনার বাংলাদেশ।

আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। দেশের প্রতিটি সেক্টরে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আইনের যথাযত সংস্কার করতে হবে। আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আবারও যাতে কোনো মহল দুঃশাসন, স্বৈরাচার কায়েম করতে না পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। যার যার ন্যায্য প্রাপ্য তা দিতে হবে। বৈষম্যহীন সমাজ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। শিক্ষাঙ্গনগুলো দলীয় রাজনীতির কালো থাবা থেকে মুক্ত করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তবেই এদেশ আলোকিত বাংলাদেশ হবে।অবস্থান কর্মসূচি শেষে এক র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবন ঘুরে আবারও হাদী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।