পঞ্চগড়ে আমের মুকুলে পরিপূর্ণ বাগান

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২:৪৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২৪

মো:ইব্রাহীম,পঞ্চগড়। পঞ্চগড় জেলা জুড়ে আমের বাগান গুলো মুকুল পরিপূর্ণ, সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে পঞ্চগড়ে পাঁচটি উপজেলাতেই আম বাগান গুলোর বাহারি রূপে ঘোমটা দিয়ে রয়েছে। মুকুলের ঘোমটায় ঢেকে গেছে আম গাছের ডালপালা এ যেন প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দোল খাচ্ছে আম বাগান গুলোতে, এই ফাল্গুনের শেষের দিকে।

পাখিদের কিচিরমিচির কলকাকলিতে মুখরিত হয়েউঠেছে বাগানগুলো মৌ মৌ গন্ধে মধুমাছি মধু আহরণে ব্যস্ত। পঞ্চগড় কৃষি অধিদপ্তরের বক্তব্য অনুযায়ী আম চাষীরা আম্রপালি আম বেশি করেছে। এরমধ্যে রয়েছে সূর্যপুরী, মালভোগ, ন্যাংড়া,গোপালভোগ, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে এবার লাল সিন্দুর আম ।

আম হলো বাংলাদেশে ফলের রাজার মধ্যে অন্যতম এবং আমগাছ হলো জাতীয় গাছ। আম উষ্ণ ও অবউষ্ণম-লীয় অঞ্চলের সাধারণত জন্মে। আমের উৎপত্তিস্থল ইন্দো-বার্মা অঞ্চলে বলে ধারণা করা হয় তবে ভারতীয় উপমহাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল আম কারণ এ ফল বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্যবহার, গন্ধে ও স্বাদে পুষ্টিমান এর বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে তবে বাংলাদেশে সব অঞ্চলে আম জন্মে কিন্তু। অনেক চাষিরা প্রতি বছর ক্ষতির শিকার হয়ে থাকেন ক্ষতির সাধারণত দুই প্রকারের সমস্যার কারণে যথা- ১. প্রাকৃতিক কারণ (যেমন- শিলাবৃষ্টি,ঝড়, খরা প্রভৃতি) এবং (আ) রোগ ও পোকামাকড় দ্বারা আক্রান্ত হয়ে। দ্বিতীয় ক্ষতি প্রায় সম্পূর্ণ রূপে সমাধান করা সম্ভব এবং সঠিক পরিচর্যা ও

অতুলনীয়। দেশের উরাঞ্চলে পঞ্চগড়ে,গাছের পরিচর্চা: আম গাছের ফলন বাড়ানোর এবং ফলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি জন্য নিম্নলিখিত পরিচর্চাগুলো গুলো প্রয়োজন।

আগাছা দমন: এছাড়া বর্ষার আগে চাষ দিয়ে জমির মাটি উল্টে দিতে পারলে ঝরে পড়া পাতা ও আগাছা মাটিতে চাপা পড়ে যায় এবং পচে জৈব সারে পরিণত হয়। ফলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। আমবাগানে একাধিক জাতের আগাছা জন্মাতে দেখা যায়, যা গাছের স্বাস্থ্যের ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রতি ক্ষতিকর। পরগাছাসমূহে শিকড়ের মধ্যে এক প্রকার হস্টোরিয়া হয়, যা গাছের মধ্যে প্রবেশ করে রস শোষণ করে এবং দুর্বল করে। পরগাছার পাদুর্ভাব বেশি হলে গাছের পাতার আকার ছোট হয় ও ফ্যাকাসে হয় এবং অনেক সময় গাছ মারা যায়। এর ফলে গাছের ফলন মারাত্মকভাবে কমে যায়। তাই ভালো ফলন জন্য

সার প্রয়োগ : ফল উৎপাদনের ও গাছের বৃদ্ধি জন্য সারের ব্যবহার একান্ত প্রয়োজন। সারের পরিমাণ ফলন্ত গাছের আকার, বয়স ও মাটির উর্বরতার ওপর নির্ভর করে। যতটুকু স্থানে দুপুর বেলা ছায়া পড়ে সেটুকু স্থানে মাটি কুপিয়ে মাটির সঙ্গে সার মিশিয়ে দিতে হবে।

সেচ প্রয়োগ : জমির ওপর স্তরে প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান থাকে বা মাটিতে সার মিশিয়ে দেয়া হয় তাই আম বাগানের ওপরের ২.৫-৩.২৫ মিটার অংশকে জমির পানি সংরক্ষণ স্তর হিসেবে ধরা হয়। শুষ্ক মৌসুমে আম বাগানে পানির সেচ দেয়া দরকার। আমের গুটি দানারমতো হওয়ার পর থেকে ২০-২৫ দিন পর পর ৩-৪ বার সেচ দিলে গুটি ঝরা বন্ধ হয়।

পঞ্চগড়ে বিভিন্ন আমের বাগানের চাষীদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে যে তারা কৃষি অফিসারের পরামর্শ মত আমের বেশি ফলনের আশায় পরিচর্যা করেছে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন আম চাষীরা।