কুড়িগ্রাম জেরার উলিপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ৪, ২০২৪ মোঃ রেজাউর ইসলাম।উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে সাময়িক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতির অবনতির ফলে গত তিনদিন ধরে ঘরের ভিতর মাচা ও চৌকি উঁচু করে আশ্রয় নিয়েছে বানভাসি মানুষ। চৌকিতে রান্না-বান্না, চৌকিতেই রাত কাটছে তাদের। বাড়ির চারপাশে থৈথৈ পানিতে অসহায় দিন কাটছে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী মানুষের।উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা বঁড়াবুড়ী ইউনিয়নের আঠারো পাইকা সাতভিটা বুড়াবুড়ী জলংগার কুঠি কিসামত ফুরবাড়ী ফকির মোহাম্মদপুর হাপারভিটা গ্রামের মানুষ গত তিনদিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় আছে। ছেলে মেয়েকে উঁচু জায়গায় রেখে গরু-ছাগল পাহারা দিচ্ছি। এখনো কেউ খোঁজখবর নিতে আসেনি।একই ইউনিয়নের ফকিরের চর গ্রামের রমিচন জানান, ঘরে পানি। রান্না করতে সমস্যা হচ্ছে। গরুকেও কিছু খাইতে দিতে পারছি না। বাচ্চারা কান্নাকাটি করছে। একই গ্রামের ফরিদা জানান, চারটে ভাত ফুটাচ্ছি। তরকারি নাই। লবন দিয়া খাইতে হইবো। বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান জানান, আমার ইউনিয়নে ১৫শ’ মানুষেমানুষের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। এছাড়াও ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে।বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল হামিদ শেখ জানান, আমার ওয়ার্ডে দেড়শ ঘরে পানি উঠেছে। এছাড়াও এই ইউনিয়নে প্রায় ৮শ’ পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে। ফকিরের চরে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৮০টি পরিবার আশ্রয় নিলেও তারা বিশুদ্ধ পানি ও ল্যাটিন সমস্যায় ভুগছেন।এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতাউর রহমান জানান, আমি বিষয়টি জানলাম। এখনেই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে লোকজনকে পাঠাচ্ছি সমাধানের লক্ষে।এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ জানান, বন্যা কবলিত কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী, উলিপুর ও নাগেশ্বরীতে খোঁজখবর নেয়ার পাশাপাশি ইতিমধ্যে দুর্গত এক হাজার পরিবারকে ত্রান ও ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মাহমুদুর রহমান এ দণ্ডাদেশ দেন। ঘটনাটি ঘটেছে, হাতিয়া ইউনিয়নের চৌমহনী বাজারে।জানা গেছে, মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থী কদমেরতল থেকে প্রাইভেট পড়ে সন্ধ্যার দিকে চৌমহনী বাজারে পৌছিলে বখাটে দুলাল প্রকাশ্যে ইভটিজিং করে। এসময় বাজারের লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এরপর উলিপুর থানার এস আই মশিউর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। রাত সাড়ে ১০টায় চৌমুহনী বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দণ্ডবিধি আইন ১৮৬০-এর ৫০৯ ধারায় দোষি সাবস্ত করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মাহমুদুর রহমান এ দণ্ডাদেশ দেন। বখাটে ওই যুবক হাতিয়া ভবেশ ফকিরপাড়া গ্রামের মনিরের পুত্র। এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মাহমুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত যুবকে রাতেই জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: